পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের কাউখালীতে ২শ গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে একটি এনজিও উধাও হয়ে গেছে। এনজিওটির নাম ‘অনন্যা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’। স্থানীয়রা জানান, এনজিওটি প্রায় ২শ গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এনজিওটি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসরী ব্রীজ সংলগ্ন আব্দুর জব্বার হাওলাদারের বাড়ির পাকা ভবন ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাতো। এর আগে ওই এনজিওটি উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে কার্যক্রম চালিয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ওই এনজিও থেকে আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলতে গত শনিবার (২৭ জুন) জামানত (সঞ্চয়) হিসেবে ৫ হাজার ২৫০ টাকা দিয়েছি। এনজিওটির আগামীকাল সোমবার (২৯ জুন) ওই ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা রয়েছে। আমার সঙ্গে এ সময় ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ নিতে আরো ৯ জনের প্রত্যেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকা করে জমা দেন।
তিনি আরও বলেন, আজ (২৮ জুন) সকালে অফিসের লোকজনকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। পরে এসে দেখি অফিসটি তালাবদ্ধ। এখানে এসে দেখি আমার মতো অনেক নারী-পুরুষ জড়ো হয়েছেন। এনজিওটির প্রতারণার শিকার মামুন হোসেন জানান, তিনি এক লাখ টাকা ঋণ নিতে ১১ হাজার টাকা সঞ্চয় হিসাবে জমা দিয়েছেন। ২ দিন আগেই টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তাদের টাকার বরাদ্দ আসেনি বলে ঘুরাচ্ছেন এনজিও কর্মীরা।
ওই এনজিওটিকে অফিস হিসেবে ঘর ভাড়া দেয়া ভবন মালিক আব্দুল জব্বার হোসেন জানান, তার ঘরটি গত ৭/৮দিন আগে ওই এনজিওটির শাখা ম্যানেজার পরিচয়ে এক ব্যাক্তি এসে ভাড়া করেন। এ সময় তিনি বাড়ি না থাকায় তার স্ত্রী জেসমিন বেগমের সঙ্গে তাদের মৌখিক চুক্তি হয়। আজ (২৮ জুন) এর লিখিত চুক্তি হবার কথা ছিল। তারা কিছু আসবাবপত্র রেখে এক নারী ও ২ পুরুষ এনজিও কর্মী হিসেবে কাজ চালাতেন। স্থানীয়রা জানান, ওই এনজিওটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ঋণ নিতে ইচ্ছুকদের ঋণ দেয়ার কথা বলে প্রায় ২শ জন ঋণ গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে টাকা জমা নিয়েছেন। থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, ২৫/৩০ জনের সঞ্চয় বই আমাদের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এ সব বইগুলো যাদের নামে রয়েছে তারা বিভিন্ন অংকের ঋণ তুলতে কথিত এনজিওটিকে সঞ্চয় হিসেবে টাকা জমা দিয়েছেন।
Leave a Reply